Sunday, December 31, 2017

Youtube এ কপিরাইট এড়িয়ে চলুন. (Avoid Copyright)

আমাদের কাছে অনলাইন মানে সবই ফ্রী, কপি রাইট বলে কিছুই নাই। সাধারনত আমাদের কোন ইমেজ প্রয়োজন হলে, আমরা যেটা করি গুগলে সার্চ দিয়ে ইমেজ সেভ করে আমাদের কাজ সারি, যা সম্পূর্ণ কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। এটা একটা বাজে প্রাক্টিস। এখনকার সময় ইউটিউব এর ক্ষত্রেও দেখা যায়, ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে নিজের চ্যানেলে পোষ্ট করে থাকে। আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ফেলেছেন তখন আপনি ইউটিউব এর পার্টনার। আর পার্টনার থাকা অবস্থায় অন্যের সাউন্ড, ভিডিও, থাম্বনেইল ইত্যাদি নিজের চ্যানেলে ব্যবহার করলে কপিরাইট হবে।


সুতরাং,  সম্পূর্ণ নিজের ডাটা হতে হবে।  ইউটিউব শুধু ইউটিউবের ভিডিও পর্যবেক্ষন করে কপিরাইট শনাক্ত করে না বরং তাদের কপিরাইট সনাক্ত করার নীতিমালা আছে। আপনি যদি কোনো পাবলিক সাইট থেকে কিছু ডাউনলোড করেন যা ইউটিউবে নেই,  এবং সেই ভিডিও নিজের চ্যানেলে পোষ্ট করেন তাও কপিরাইট হবে। তবে আপনি আপনার তৈরি ভিডিওতে ইউটিউবের নিজস্ব কিছু গানের ট্রাক থেকে গান নির্বাচন করে ব্যবহার করতে পারেন।

কপিরাইট হল একটা আইন যা কন্টেন্ট, ছবি, সফটওয়্যার কিংবা যে কোনো জিনিস এর প্রকাশক বা মূল মালিকের স্বত্ব বা অধিকার সংরক্ষন করে যা প্রকাশকের অনুমতি ছাড়া আপনি ব্যক্তিগত কাজে অথবা অন্য কোনো কাজে সরাসরি কপি করে ব্যবহার করেন তাহলে এতে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হবে।

Friday, December 29, 2017

ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করুন। নামটি আপনি যে কোন বিষয়ের উপর নিতে পারেন, সেটা হতে পারে কম্পিউটার টেক, সফটওয়্যার, গেমস,  রান্না বিষয়ক,  স্বাস্থ্য বিষয়ক বা যে কোন বিষয় এমনকি আপনার নামের উপরেও। তবে একটি কথা মনে রাখবেন আপনার যেই বিষয়ে ভালো ধারণা আছে, সেই বিষয়ের উপরেই  একটি সুন্দর নাম  নির্বাচন করবেন। তাই প্রথমেই এমন একটি নাম চিন্তা করুন যা এর আগে কেউ ব্যবহার করেনি।

ইউটিউবে একাউন্ট খুলতে একটি ইমেইল লাগবে। আর এজন্য অবশ্যই আপনাকে জিমেইল ব্যবহার করতে হবে। তাই একটি ইমেইল নিবার্চন করুন, যদি জিমেইল একাউন্ট না থাকে তাহলে একটি নতুন জিমেইল একাউন্ট খুলে নিতে হবে। জিমেইল একাউন্টটি অবশ্যই ভেরিভাই করে নিতে হবে।

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন তা এখানে দেখুন:
https://ythelpbdcircle.blogspot.com/2017/12/how-to-createt-youtube-channel.html

আপনার চ্যানেলের সুন্দর একটি লোগো আর একটি কাভার ফটো বানান। কাভার এবং লোগো বানানোর জন্য ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করতে পারেন।

ভিডিও তৈরীর জন্য আপনি দুটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমটি হলো ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে YouTube এ আপলোড এবং ২য় টি হলো কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে করে YouTube এ আপলোড করতে পারেন। তবে ভিডিও তৈরির আগে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, আপনার ভিডিওটি অবশ্যই মজাদার বা শিক্ষনীয় ও ভালো মানের হতে হবে। ক্যামেরা ও লাইটিং এর ব্যবহার, সুন্দর একটি ইনট্রো নির্বাচন করবেন, পরিস্কার সাউন্ড সিস্টেম এই বিষয়গুল ভিডিও তৈরীর ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।

কারও কোন ভিডিও নকল করে কিংবা সামান্য পরিবর্তন করে কাজটি করা যাবে না। তাহলে আপনি YouTube এর কাছে কপিরাইটের দায়ে পেসে যেতে পারেন। কপিরাইট বিষয়টি নিয়ে অন্য একটি পোস্টে আলোচনা করে যাবো।

এখন আসি ২য় উপায় ভিডিও Editing। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কি কি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিও এডিট করবো? ভিডিও এডিট করার জন্য অবশ্যই ভালো কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার Ulead Media Studio, Sony vegas pro, Camtasia Studio, Wondershare Filmora,  ইত্যাদি। তবে ফ্রিতে অনেক ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার পাবেন, কিন্তু আমি বিশেষভাবে ব্যবহার করেত বলবো "Camtasia Studio"। এই সফটওয়্যারটি আপনি ম্যক ও উইনডোজ দুটোতেই ব্যবহার করতে পারবেন।  যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজ তেমন জানেন না তারা এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। আর এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ভিডিও এডিট করাও  অনেক সহজ।  ভিডিও এডিটিং এর জন্য Camtasia Studio 9 এর কোন তুলনা নাই।  এছাড়াও  আপনি আপনার মোবাইল কিংবা ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে যা ভিডিও করেছেন, তা প্রথমে এডিট করে নিন, এরপর আপলোড করুন ইউটিউবে। আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে ইউটিউবের আরো খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আপনাদের হাজির হবো  ইন শা আল্লাহ।

Thursday, December 28, 2017

কিভাবে আপনার নিজের একটি YouTube Channel খুলবেন ?

YouTube নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তারপরও নতুনদের জন্য পুরাতন কিছু নতুন করে বলছি। ভার্চ্যুয়াল মার্কেটে সব থেকে বড় video streaming site হচ্ছে YouTube।  শুধু যে বিনোদনের জন্য এই সাইটটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তা নয়, বিভিন্ন ধরণের সামাজিক অবক্ষয়, অনিয়ম, অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের মতো ঘৃণিত কাজগুলোকে প্রকাশ্যে লোক সম্মুখে এনে রীতিমত একটা নব জাগরণ সৃষ্টি করছে এই YouTube। এমনকি বিজ্ঞানের প্রসারেও এই সাইটটি অন্যান্য মিডিয়া থেকে পিছিয়ে নেই। এইখানে কেউ আসে বিনোদনের উদ্দেশ্য, কেউ আসে সামাজিক অবক্ষয়ের তথ্য পেতে আবার কেউ বা আসে বিজ্ঞানের প্রসারের উদ্দেশ্যে। ভিজিটরদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে নিজের সংগ্রহের কিছু ভিডিও সবার সামনে তুলে ধরতে। নিজের পছন্দ আর রুচি বোধ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে। আবার কেউ কেউ আবার বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও রাখেন। কিন্তু ইচ্ছা হলেও উপায় জানা নেই বলে অনেকে ব্যর্থ মনোরথ নিয়ে বসে থাকেন। আজ আমি আপনাদের কাছে খুব পরিচিত বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।  আজ আমি আপনাদের জানাবো কিভাবে আপনার নিজের একটি YouTube  Channel খুলবেন?


আজ কাল সকলেরই কমপক্ষে একটি করে মেইল থাকে, আর তা যদি হয় Gmail ID তাহলে তো কথাই নাই। YouTube এ Channel খুলতে হলে সব থেকে আগে আপনাকে আপনার Gmail ID  সাইন ইন (Sign in) করতে হবে। সাইন ইন করার পর ডান দিকের কোণায় থেকে আপনার Profile Picture অপশনে ক্লিক করেন এবং নিচ থেকে  Settings অপশনে ক্লিক করুন। নীচের চিত্রটি দেখুনঃ

পরের ধাপে একেবারে নীচে দেখুন Create a new Channel নামের যে অপশনটি আছে তাতে একটি ক্লিক করুন। নীচের চিত্রটি দেখুনঃ


এবার বক্সে আপনার চ্যানেলের নাম দিন এবং create এ ক্লিক করুন। নীচের চিত্রটি দেখুনঃ


আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। এবার আপনাকে Channel description,Channel art, Cover ইত্যাদি আর ছোট খাট যা যা দরকার সেগুলো সব ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী করে নিতে হবে। আশা করি নিজের থেকে এই কাজগুলো করতে পারবেন। না পারলেও সমস্যা নাই  আমাদের ফেসবুক গ্রুপের সাথেই থাকুন। YouTube নিয়ে সকল কিছু ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করে যাবো।  আর এই পোষ্টে কোন কিছু বুজতে অসুবিধা হলে  পোষ্টের নীচে কমেন্ট করে বিষয়টি জানান।

আমাদের ফেসবুক গ্রপঃ https://www.facebook.com/groups/youtubehelpcircle/